বাংলাদেশের নতুন প্রযুক্তি লুব-রেফ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
লুব্রিক্যান্টস এবং ট্রান্সফর্মার অয়েল উৎপাদনে নতুন দুটি প্রযুক্তি বাংলাদেশে এনেছে লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
ন্যানো ও নিনাস নামের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি দুটি যথাক্রমে ট্রান্সফার্মার ও ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম বলে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ প্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশে প্রথম বলে দাবি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
রোববার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড আয়োজিত ‘বাংলাদেশের লুব্রিক্যান্ট এবং বিদ্যুৎ খাতে সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি’ বিষয়ক সেমিনারে প্রযুক্তি দুটির উদ্বোধন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সইডেন অ্যাম্বাসেডর চারলোটা স্কালাইটার এবং বুয়েটের কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ইজাজ হোসাইন।
লুব-রেফ (বাংলাদেশ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে সেমিনারে এ খাতের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিডার চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্রমেই বিকাশ হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে এ দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এর জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির।
“আশা করছি লুব-রেফ বাংলাদেশ যে নতুন প্রযুক্তি এনেছে তা অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।”
আয়োজকরা জানান, ন্যানো প্রযুক্তি ইন্জিনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও লুব্রিকেন্স পদ্ধতির নির্গমন কমায়। ফলে এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী।
অন্যদিকে নিনাস টেকনোলজি ট্রান্সফার্মারের তৈলে ব্যবহার করা হয়, যা পরিবেশ বান্ধব। কারণ এটি নিম্মতাপমাত্রা তৈরি করে। নিনাস সুইডেন ও ন্যানো টেকনোলজি ফিনল্যান্ডের কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে লুব-রেফ সংযোজন করেছে।
লুব-রেফ (বাংলাদেশ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, “বাংলাদেশে শিল্প কারখানা স্থাপনের হার বাড়ছে। তাই এই খাতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে নতুন প্রযুক্তি দুটি নিয়ে এসেছি আমরা।”
“এটি পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী; যা ৫০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করার যাবে।”